৳ ২৫০ ৳ ২১৩
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩ অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩) এখন ৬০% ছাড়ে
একদিন মাথার চুল আঁচড়াতে গিয়ে সমির সাহেব দেখলেন তার সব চুল পড়ে যাচ্ছে। প্রতিবার চিরুনি দিয়ে মাথায় আঁচড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিরুনির সাথে খাবলা খাবলা চুল উঠে আসছে। সমির সাহেব এই দৃশ্য দেখে আতংকে নীল হয়ে গেলেন।
সমির সাহেবের বয়স ষাট বছর। এই বয়সে মাথার চুল পড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এতে আতংকিত হওয়ার কিছুই নাই। কিন্তু তিনি আতংকিত না হয়ে পারলেন না। কারণ, তাদের বংশ কয়েক পুরুষ ধরে একটা অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে। মৃত্যুর ঠিক একমাস আগে তাদের বংশের পুরুষদের চুল পড়ে মাথা টাক হয়ে যায়। সমির সাহেবের বাবা, দাদা, দাদার বাবা ঠিক এভাবেই মারা গিয়েছিলেন। আজ থেকে যেহেতু তারও চুল পড়া শুরু হলো, তাই ঠিক একমাস পর যে তিনি মারা যাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। এজন্যই তিনি আতংকে নীল হয়েছেন।
সমির সাহেবের একমাত্র ছেলে শওকত এবং বড়ো মেয়ের জামাই ফরিদ এই অভিশাপের ঘোর বিরোধী। তারা এটা কোনোভাবেই বিশ্বাস করেনা। এই আধুনিক যুগে আবার অভিশাপ কী জিনিস? সব কুসংস্কার। কিন্তু সমির সাহেব তার বিশ্বাসে অনড়। একমাস পর সে মরবেই।
কোনো ভাবেই যখন তাকে বোঝানো যাচ্ছে না যে, মাথার চুল পড়ে গেলে কেউ মরে না, তখন শালা-দুলাভাই মিলে এক মজার ফন্দি আঁটে। কবিরাজের কাছ থেকে তারা নিয়ে আসে টাক মাথায় চুল গজানোর যাদুকরী এক তৈল। যেই তৈল মাথায় মালিশ করলেই চুল উঠে যাবে এক সপ্তাহে। তাদের ধারণা চুল পড়ে গেলে যদি কেউ মরে যায়, তাহলে টাক মাথায় চুল গজানো গেলে নিশ্চয়ই সে বেঁচে যাবে।
এইসব হাস্যরসাত্মক ব্যাপার নিয়েই এই রম্য উপন্যাস। শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল?<
সমির সাহেব কি একমাস পর সত্যি সত্যি মরে গেল, নাকি কবিরাজের তেল মাথায় মেখে টাক মাথায় চুল গজালো?
জানতে হলে চমৎকার এই শীতের সকালে এক কাপ চা আর বইটি হাতে নিয়ে মিষ্টি রোদে পা ছড়িয়ে বসে পড়ুন আপনার বারান্দায়।
Title | : | সমির সাহেবের টাক মাথা |
Author | : | মুহাম্মদ ইব্রাহিম |
Publisher | : | শিখা প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789849334225 |
Edition | : | 2021 |
Number of Pages | : | 128 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
মুহাম্মদ ইব্রাহীম (জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৪৫) বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক এবং বিজ্ঞান সংগঠক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক। তিনি সেন্টার ফর মাস এডুকেশন ইন সাইন্স (সিএমইএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সত্তরের দশক থেকেই তিনি এই প্রক্রিয়া শুরু করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞান চর্চার গ্রামীণ আনন্দ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। এর একটি টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলায় অবস্থিত। তিনি বিজ্ঞান সাময়িকী নামক একটি মাসিক বিজ্ঞান মাসিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তার আরেকটি পরিচয় তিনি ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই। ২০০৬ সালে তাকে জনপ্রিয় বিজ্ঞান সাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয়া হয়।
If you found any incorrect information please report us